পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন কিভাবে
সামনে আসছে পবিত্র মাস রমজান। অনেকেই ইতোমধ্যে রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেকেই ভাবছেন প্রস্তুতি নিবেন। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। আজকের এই আর্টিকেলে কিভাবে আমরা রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিব সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
রমজানের শুরুতে আমরা কিভাবে প্রস্তুতি নিব, কিভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবো, নামাজ কালামের প্রতি কিভাবে মনোযোগী হব এবং ছোট ছোট দোয়া আমল সম্পর্কে কিভাবে অভ্যস্ত হব তা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ পবিত্র মাহে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন কিভাবে
- পবিত্র মাহে রমজান
- কোরআন তেলাওয়াত করা
- নামাজের প্রতি মনোযোগ
- তওবা করা ও বেশি বেশি দোয়া পড়া
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা
- প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে ফেলা
- শেষ কথা
পবিত্র মাহে রমজানঃ
রমজান হলো বরকতময় মাস । শাবান মাসের শুরু থেকেই মুসলমানদের মধ্যে রমজানের আবহাওয়া বিরাজ করতে শুরু করে। নফল রোজা ও বিগত রমজানের কাজা রোজা গুলো রমজানের আগের মাস অর্থাৎ শাবান মাসে করা হয়ে থাকে। সিয়াম সাধনার মাস হল এই রমজান মাস। এই রমজান মাসে মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোজা রাখে এবং বেশি বেশি ইবাদত করে থাকে। মহান আল্লাহ তায়ালা এই মাসে বেশি বেশি দান করতে নির্দেশ দিয়েছেন এমনকি যাদের অর্থ-সম্পদ বেশি অর্থাৎ যাকাত যাদের উপর ফরজ তারা এই মাসে যাকাত প্রদান করে থাকেন।
কুরআন তেলাওয়াত করাঃ
আমরা অনেকেই আছি যারা শুধু রমজান মাস এলে কোরআন পড়া শুরু করি কিন্তু সারা বছর আর কোরআন পড়ি না। তাই আমরা রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে কোরআন পড়া শাবান মাস থেকে শুরু করতে পারি । যদি আমরা রমজানের আগে থেকে কোরআন পড়া শুরু করি তাহলে কোরআন পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হবে এবং রমজান মাসে আমরা দ্রুত কোরআন পড়া শেষ করে পুনরায় কোরআন পড়ার সুযোগ পাবো। ফলে দেখা যাবে রমজান মাসেই আমরা দুই থেকে তিনটি খতম দিতে পারব। তবে অর্থসহ বুঝে কোরআন পড়া সবচেয়ে উত্তম।
নামাজের প্রতি মনোযোগঃ
আমরা অনেকেই নামাজের প্রতি অমনোযোগী। দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে কেউ দুই, কেউ তিন, আবার কেউ চার ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। তাদের জন্য বলছি, আসুন আজ থেকেই আমরা রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি। তাহলে একদিকে যেমন আমরা আল্লাহর ইবাদতের সুযোগ পাবো, তেমনি আমাদের মধ্যে নামাজ পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে। আর আমরা জানি, নামাজের মধ্যেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।তাই, আসুন আমরা সময় মত সালাত আদায় করি।
তওবা করা ও বেশি বেশি দোয়া পড়াঃ
শাবান মাস থেকেই আসুন আমরা বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে শুরু করি। আল্লাহর কাছে আমরা ক্ষমা চাই। তিনি আমাদের কখনো খালি হাতে ফেরান না। তাই আমরা সালাতের মধ্যে বা দিন-রাতের যেকোনো সময় বেশি বেশি তওবা পাঠ করবো। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দোয়া মুখস্ত করব। যদিও আমরা অল্প কিছু দোয়া জানি কিন্তু সবটা জানি না। তাই আসুন আমরা এখন থেকেই রমজানের জন্য ছোট ছোট দোয়া গুলো শিখে ফেলি, যাতে আমরা রমজান মাসে সেগুলো আমল করতে পারি।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাঃ
রমজান মাস যেহেতু পবিত্র মাস। এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করা অতি জরুরী। তাই রমজানের আগেই ঘর বাড়ি, পোশাক -পরিচ্ছদ, আসবাবপত্র সবকিছু পরিষ্কার করে ফেলবো। যাতে রোজার মধ্যে এসব কাজে আমাদের বেশি সময় দেয়া না লাগে। তাহলে আমাদের মূল্যবান সময়গুলো এসব কাজে নষ্ট হবে না বরং সেই সময়ে আমরা বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করতে পারব।তাই আমরা রমজান মাসের আগে ঘরের বেশিরভাগ কাজগুলো গুছিয়ে ফেলবো।
প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে ফেলাঃ
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ সময়ে আমরা যতটা পারি রমজানের আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে ফেলবো। অনেক সময় দেখা যায় রমজানের শুরুতে জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে। তাই যাদের কেনার সামর্থ্য আছে, তারা রমজান শুরুর আগেই বাজার কিছুটা করে রাখতে পারেন। তাহলে, কিছুটা হলেও আপনাদের সাশ্রয় হবে।
শেষ কথাঃ
আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আমাদের রমজানের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। রমজান মাসের পুরো সময় যেন আমরা আল্লাহর ইবাদত করতে পারি এবং যথাযথ ভাবে রোজা রাখতে পারি, আল্লাহ যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। আরো এমন অনেক সহজ পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url