চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় কি এই বিষয়টি জানার জন্য সকলেরই কম বেশি আগ্রহ রয়েছে। সেজন্য অনেকেই চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকেন। আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করতে পারবেন। অতএব, পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলুন।
পারিপার্শ্বিক ও হরমোনজনিত বিভিন্ন কারণে বর্তমানে অল্প বয়সেই অনেকের চুল পাকার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সের চুল পাকা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। সেজন্য আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি এবং চুল পাকা বন্ধ করার খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করব। অর্থাৎ এই পোস্টটি পড়লে আপনারা চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্র - চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় জানুন
চুল পাকার প্রধান কারণ সমূহ
শুরুতেই আমরা আপনাদের চুল পাকার প্রধান কারণসমূহ সম্পর্কে ধারনা দেব। তার পরবর্তীতে চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় আপনাদের সামনে আলোচনা করব। তবে চলুন চুল পাকার কারণসমূহ জেনে ফেলি।
- শরীরে মেলাননিনের পরিমাণ কমে গেলে অকালে চুল পেকে যেতে পারে।
- যাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা ভঙ্গুর তাদের চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ ভাবে চুল পাকতে পারে।
- অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালকোহল খেলে অল্প বয়সে চুল থেকে পেকে যেতে পারে।
- থাইরয়েড জনিত সমস্যা, এলার্জি, রক্তশূন্যতা প্রভৃতি চুল পাকার কারণ হতে পারে।
- শরীরে ভিটামিন বি১২, বি৬, বায়োটিন, আয়োডিন ইত্যাদির অভাবজনিত কারণে চুল পাকতে দেখা যায়।
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
আপনারা নিশ্চয়ই চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় জানার জন্যই এই পোস্টটি পড়তে শুরু করেছেন। তাই আপনাদের সামনে এখন চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় কোনগুলো কার্যকরী ভাবে অনুসরণ করলে আপনারা উপকৃত হবেন তা আলোচনা করব।
- ধূমপান প্রতিরোধ করুন। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে ধূমপানের ফলে প্রিম্যাচিউর এজিং এর মত সমস্যা দেখা দেয়। ধূমপান বন্ধ করলে শরীরে ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি পেয়ে চুল পাকা প্রতিরোধ হয়।
- অত্যাধিক মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারলে অসময়ে চুল পাকার মত সমস্যা দেখা দেবে না। তাই সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করার চেষ্টা করতে হবে।
- অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় কম পরিমাণে পান করুন। তাছাড়াও মসলাযুক্ত খাবার যা খেলে শরীরের শুষ্কতা চলে আসে এমন খাবার পরিহার করুন। কেননা শরীরের আদ্রতা কমে গেলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ ব্যাহত হয়।
- চুল পাকা রোধ করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো শরীরে স্বাভাবিক ব্লাড সার্কুলেশন নিশ্চিত করা। ব্লাড সার্কুলেশনের মাধ্যমে পুষ্টি উপাদান যদি মাথার তালুতে পৌঁছায় তবে চুল পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
- পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ সুষম খাবার গ্রহণ করলে এ সকল খাবার থেকে চুল তার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান লাভ করবে। ফলে অকালে চুল পাকা সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।
চুল পাকা বন্ধ করার খাবার
প্রিয় বন্ধুরা পোস্ট এর পূর্ববর্তী অংশ থেকে আপনারা ইতোমধ্যে চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তর ধারণা পেয়েছেন। এবার চুল পাকা বন্ধ করার জন্য কোন ধরনের খাবার খেলে আপনারা উপকৃত হবেন সে বিষয়টি সংক্ষিপ্ত পরিসরে জেনে নিন।
- শরীরে কপারের অভাব হলে চুল পাকতে পারে তাই কপার সমৃদ্ধ মাংস, আনারস, ডালিম, বাদাম, গরুর মাংস, পালং শাক, মাশরুম ইত্যাদি খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
- আয়োডিন হলো এমন একটি মিনারেল যা চুলের গঠনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কলা, গাজর, সামুদ্রিক মাছ, পালং শাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণ আয়োডিন রয়েছে যা চুলের রং নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
- চুলকে বর্ণময় কালো রাখার জন্য যে উপাদানটি অধিক দেয় তা হল মেলানিন। অধিক পরিমাণ প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে শরীরে মেলানিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
- ভিটামিন বি ও আয়রনের অভাব চুল পাকার অন্যতম কারণ। তাই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যুক্ত বিভিন্ন খাবার গ্রহণ করুন।
- সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ মাছ এমন এক ধরনের খাবার যা আমাদের চুলের অকালপক্কতা ঠেকাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সেমন ফিস, টুনা ফিস, কিসমিস ইত্যাদি সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।
চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যদি এই পর্যন্ত পোস্টটি পড়ে থাকেন তবে চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিশদ ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। এবার চুল পাকা থেকে মুক্তির জন্য কি কি হোমিও ঔষধ সেবন করা যেতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- চুল সাদা হয়ে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মুখ্য ঔষধ হিসেবে ভূমিকা রাখে হোমিওপ্যাথির Thyroidinum. এর ৩০ বা ২০০ দিনে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।
- এছাড়াও চুল পাকা প্রতিরোধ করার জন্য Lycopodium (200) এবং Acid Phos (200) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে। এই ওষুধ দুটিও চুল পাকা বন্ধে দারুন কার্যকরী।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা নিশ্চয়ই পুরো পোস্টটি পড়ে চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় কোনগুলো সে সম্পর্কে পুরোপুরি আইডিয়া পেয়ে গিয়েছেন। আশা করি, অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করার জন্য এই পোস্টে উল্লেখিত তথ্য গুলো আপনাদের কাজে দেবে। আমরা প্রতিনিয়ত লাইফস্টাইল বিষয়ক বিভিন্ন পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে থাকি। তাই নিত্যনতুন বিভিন্ন পোস্ট পড়তে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। পোস্টটি এতক্ষণ ধরে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। @23891
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url